২৭ জুন, ২০২০ ইং শনিবারে নাটোরের গোপালপুরে আওয়ামীলীগ নেতার নামে ভুঁয়া ফেসবুক আইডি খুলে বিভ্রান্তিকর লিখা শেয়ার করায় জেলার ডিবি পুলিশের হাতে ধরা পরেছে সাহাবুল (২৮) নামের এক যুবক।
গোপালপুরের স্থানীয় প্রতিনিধির মাধ্যমে জানা যায়, গত ১০ জুন, ২০২০ ইং তারিখে গোপালপুর পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি রোকসানা মোর্তজা লিলি-র নাম ব্যবহার করে একটা ভুঁয়া ফেসবুক আইডি খুলে সেখান থেকে আজেবাজে লিখা শেয়ার করা হয়। রোকসানা মোর্তজা লিলি বিষয়টি জানার পর তাৎক্ষণিকভাবে লালপুর থানায় গিয়ে সেই ভুঁয়া আইডির বিরুদ্ধে একটা সাধারণ ডায়েরি করেন। পরের দিনই গোপালপুর পৌরসভার কেশবপুর মহল্লা থেকে হাইদার ইসলাম (২৭), পিতাঃ মো. লালু নামের এক ছেলেকে গ্রেফতার করে লালপুর থানার পুলিশ।
জানা যায় অভিযোগকৃত ফেসবুক আইডি খুলতে হাইদারের ফোন নাম্বার ব্যবহার করা হয়েছিল। পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবেদের পর হাইদারকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। সেই ধারাবাহিকতায় গত ২৭ জুন আনুমানিক সন্ধ্যা ৭.০০ টার সময় কেশবপুর গ্রামের মো. বজলু মিয়ার ছেলে সাহাবুল ইসলাম কে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে নাটোরের ডিবি পুলিশের একটি টিম।
হাইদারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী জানা যায়, ২০১৬ সালে পাবনায় আনসার ভিডিপির ট্রেনিং-এ গিয়ে একই গ্রামের বাসিন্দা হাইদার ও সাহাবুল একসাথে থাকে ও সময় কাটায়। সেই সময়ই হাইদারের সরলতার সুযোগে তার ফোন নাম্বার ব্যবহার করে সাহাবুল লিলি মোর্তজার নামে ভুঁয়া ফেসবুক আইডি খুলে। এই ব্যাপারে হাইদার কিছুই জানতো না বলে স্বীকারোক্তি দেয়।
সেই সূত্র ধরেই নাটোর জেলার ডিবি পুলিশের একটা টিম সাহাবুল কে গ্রেফতার করে লালপুর থানায় নিয়ে যায়। সেখানে সাহাবুলের স্বীকারোক্তি অনু্যায়ী তার বাড়ি থেকে তিনটা মোবাইল ফোন ও তার ল্যাপটপ জব্দ করে পুলিশ। বর্তমানে সাহাবুলকে লালপুর থানার কাষ্টরিতে রাখা হয়েছে।
রোকসানা মোর্তজা লিলি বিগত দিনে একবার লালপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে এবং গতবার গোপালপুর পৌর নির্বাচনে শেখ হাসিনা মনোনীত নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেন। সাহাবুল ও বজলুর মতো তিনিও কেশবপুর গ্রামের বাসিন্দা।
উল্লেখ্য, বেশ কয়েক মাস ধরেই লালপুর উপজেলার রাজনীতিতে ভুঁয়া ফেসবুক আইডি নিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পরতে দেখা গিয়েছে অনেক ব্যক্তিকেই। নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনের সংসদ সদস্য জনাব শহিদুল ইসলাম বকুল এমপি মহোদয়ের বিরুদ্ধেও ভুঁয়া ফেসবুক আইডির মাধ্যমে মিথ্যাচার চালানোর অভিযোগ করেছে অনেকেই। এ ব্যাপারে থানায় কথা বলে জানা যায়, অতি দ্রুত সকল ভুঁয়া ফেসবুক আইডি সণাক্ত করে এগুলোর হোতাদের পরিচয় প্রকাশ করা হবে। কারণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশেই এই ভুঁয়া আইডি গুলোকে সনাক্তকরণ প্রক্রিয়া চলছে।