সারা বাংলাশেই এখন রাজনীতির অনেক বড় একটা জায়গা জুড়ে আছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। বিশেষ করে প্রচার-প্রচারণা, যোগাযোগ ও দ্রুত কোন বার্তা অনেকের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য রাজনৈতিক মহলে ফেসবুকের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। সেই জায়গা থেকেই বলা যায় গত ৩ থেকে ৪ বছর যাবৎ লালপুরের রাজনীতিতে বেশ বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছে ফেসবুক। ইতিমধ্যেই দেশের অন্যান্য উপজেলার সাথে পাল্লা দিয়ে লালপুরেও গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি অনলাইন ভিত্তিক সংগঠনের ইউনিয়ন ও উপজেলা ভিত্তিক কমিটি। তবে এর মধ্যে সবচেয়ে লক্ষণীয় ব্যাপার হলো, বেশ কিছুদিন ধরেই ফেসবুকে নতুন নতুন ভুঁয়া আইডির উদ্ভব ঘটছে এবং এগুলোর সক্রিয়তা স্থানীয় রাজনীতিতে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে। এরই মধ্যে এইসব ভুঁয়া ফেসবুক আইডির মাধ্যমে স্থানীয় কিছু রাজনৈতিক নেতাকে এক ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়েছে। ফেসবুক ঘাঁটাঘাঁটি করে দেখা গিয়েছে ভুঁয়া আইডি গুলো নির্দিষ্ট কোন ব্যক্তির নাম বা ছবি দিয়ে আজেবাজে, মিথ্যা ও সন্মান হানিকর লিখা প্রচার করে যাচ্ছে। পরিচয় আড়ালে থাকায় এই ভুঁয়া আইডি গুলো চিহ্নিতও করা সম্ভব হচ্ছে না। অনেক ক্ষেত্রেই এই আইডি গুলোর প্রোফাইলে প্রোফাইল ও কাভার ছবিতে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি ব্যবহার করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় কিছু আওয়ামীলীগ নেতার সাথে কথা বললে, তারা ভুঁয়া আইডি গুলোর বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে এখানে আওয়ামীলীগের মধ্যে গ্রুপিং রাজনীতি চলার কারণে অনেক নেতায় তাদের প্রতিপক্ষকে এই ভুঁয়া আইডির হোতা বলেও আক্ষায়িত করছে। আইডি গুলোর পরিচয় গোপন থাকার কারণে অনেকেই আবার বিএনপি-জামাতের কথাও স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। কেউ কেউ মনে করছে, আওয়ামীলীগের মধ্যে বিভেদ তৈরি করার জন্য স্থানীয় বিএনপি-জামাতের নেতা-কর্মীরাই এই ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নিয়েছে। তারা বলেন- “জননেত্রী শেখ হাসিনা আইসিটি সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করলেও, আইনের পূর্ণাঙ্গ প্রয়োগ না থাকার কারণে কিছু অসাধু ব্যক্তি সেটার সুযোগ নিচ্ছে। খুব দ্রুত এটার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না নেওয়া হলে, পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হতে পারে।”
ছবিঃ ফেসবুক থেকে সংগৃহীত